২০/৫/১২

১০০

আমরা বাংকারে শুয়ে আছি,
ছোট্ট জীবন যায় সারসের বাড়ি
আলো তার চুপচাপ ডানার ভরসায়
মেলানিন ত্বক তার কল্পনায়

পাঁপড়িরা রক্তাক্ত হয়ে যায়
পাঁপড়িরা পাথর হয় তারপর

গুণে গুণে দিন
পুঁথিতে নামে আশ্বিন

১৬/৫/১২

৯৯

"সূর্যকে খুব ছোট করে বানানো হল, আর আমরা তাদের হাত ধরে বিস্কুটের ফ্যাক্টরিতে যাবো; কোলেস্টেরোলের কিউবে হেব্বি বোদলেয়ার, সিগনাল পড়ে গেলো। টিভিতে নখ খাওয়া দেখাচ্ছে - আমরা উচ্ছন্নে যাচ্ছি, ইকুয়েশনের পোস্টার উড়ে যায়।। বিশাল সাইকেলে দুধের বয়াম ঝুলছে, পা'জামায় প্যাচপ্যাচে কাদা।।। চশমাটা ভেঙ্গে গেলো, চশমাটা ছিল না কখনও।।।।"

১১/৫/১২

৯৮

মুসাফির করোটি বৃষ্টিপাতে স্থবির
খেলাঘরে রোদ আসে মেঘ যায়
টুপ ক'রে চোখের পলক প'ড়ো
গ্রীষ্মকে লুঠ করো বর্ষা কাল্পনিক

এইরূপে, আমার অনেক কিছু এসে যাবে
সে যদি আকাশ পায় অকস্মাৎ

৯৭

আমরা মেঘের তলে ভাল পাই, আমাদের পিত্তথলি দরকার নাই
গীর্জার পিছে গু-মুতে হুদাই লাফাই, ঠোঙ্গার ইস্মার্টফোন বানাই
ইচ্ছেমতো ছিঁড়ে ছড়িয়ে দিলে শুদ্ধ হওয়া যায়
ভেজানো দরোজার পর সে ম'রে হাঁ, সিন্দুক বরাবর টিকটিকির পা তড়পায়
নাঙ্গা আয়নাকে ফাটিয়ে দিয়ে কী অদ্ভুত ডেভিডের মতো হয়ে যায় মানবসকল
ধুলোও পাথর হয়, মানুষতো মানুষ হয় না আর
 
 

১০/৫/১২

৯৬


তেপান্তরের পর আজো আষ্টেপৃষ্ঠে বিদ্যুত, শুক-সারির অনবদ্য বাসর
বটিকাটা শুক্লপক্ষের রাত ঘামের আঠায়, ডাহুক তার শেষ ডাক ছাড়ে একা

স্বপ্ন গলে গলে উড়ে যাচ্ছে

৯৫

হাঁ-তে লাল হয় দূরবীণ
যুক্তিতে পোকাখাওয়া আপেল
ঝুলন্ত ফোলা ফোলা বাওবাবের পাতা জিব খুঁজে পাচ্ছে
স্রোত তার মনমতো নকশা জমা দেবে
বরফ তার বর্ধিতাংশে বারান্দা বানিয়েছে কেল্লার ছাদের মতো তাতে
পেপারক্লেতে জমিয়ে তোলা নগ্ন মার্মেইড আর বামহাতে রেনুকোস
পিলপিল উঠে যাচ্ছে লবণ

৮/৫/১২

৯৪

মাঝখানে কিছুদিন লাল মেঘ আঁকতে পারি রঙ দুলিয়ে,
তারপর হঠাৎ প্রিয় এক শারিরীক রেশমে ঢাকব জানালা
ডানোপুষ্ট মধ্যবিত্ত ছাঁদ ঘুণধরা ড্রয়ারকে উড়োবে বালির বিকেলে;
কিছুকাল প্যাস্টেল পাওয়া যাবে না,
কিছুকাল বুবকাস কেউ খাবে না,
দেরাদুনী বুড়ি কলকব্জায় দেবে মেয়নেস
বিশাল বায়ারে মগজের ঘণ্টা পিন দিয়ে সেঁটে দেবে মরণচাঁন
 

ফস্টাসবিহীন শীতগ্রহে ফুপিয়ন নেই,
তেত্রিশগুণ ধার পরিবার ডেণ্টিস্টের চেয়ারে বসে
হেসো আরেকবার, বুধবার যাবে না বুধবারে


চোরাগোপ্তা  
গণবাপ 
আইনুন 
হেসে ওড়াবে ওভারব্রীজের জলজ্যান্ত সাপ
খাটোনখে 
অবিরাম 
বিস্মৃত রেখার খামার, 
সীমাবদ্ধ হিরোইন আমার।

১২/৪/১২

৯৩

স্বপ্নে জন্ম দেখি, দেখি গুইসাপ
দ্বন্দ্ব কাটেনা, জটপাকিয়ে যায়
ভেতরবাড়ির পাথুরে বাউণ্ডারির
কালশিটে কৌতুকে ইঁদুর মৃত
স্বপ্নে দেখা দাঁতের ক্লিপ, ক্যাওড়ার মগডাল
ব্যক্তিগত স্নেহের হুংকারে লবণাক্ত দ্বন্দ্ব
তেলছোপ রোজনামচার পাতাটা উড়ে গেছে দূরে
বিশ্ববাসী বোধহয় গোসল করবে

৯/৪/১২

৯২

মানুষের বুকে শীত এসেছে, তারা দৌড়ে যাবে ভোরে
পৃথিবীর সব কাজল পথে মরে আছে;
গর্জনের শ্বাসরোধ করে আঁকাবাঁকা সোনার ফিতে ,
আয়তন ছিটকে গেছে বেলেল্লা বাক্যের,
নীচুরা উঁচুদের দেহ মেজে যাবে চর্বিপাথরে,
বাড়বে প্রতারণার ব্যাস;
বারবার ভুল খেলা জমে যাবে ভুল সোমবারে,
আসবাবহীন শরীরে নীলক্ষার ফুল অলকার মতো -
বিশেষ কৃপায় ভর্তি হবে ক্ষণস্থায়ী আকাদেমীতে
সভ্যজন ঘড়িকে বাঁকিয়ে ঘাড়ে পরবে, মধ্যরাতের পর ।।।

___অ_
৯.৪.১২

৮/৪/১২

৯১

যে ব্যক্তি ডিম বেচতে যাবে সে মেরুন দেখবে পার্সে পার্সে
একজন ট্যানারির শিশু বেঁকে বেঁকে ঢুকে যাবে ঢাউস বিচিত্রায়
পেলব পাথরের কারিগর চোয়াল খুলে রেখে দক্ষিণে দেখবে
ডাক্তার তার পেনশনে টেনশনে খুইয়ে বসে নোটবই
আরও বিপুল পৃথিবীর আলাদা আলাদা ছাঁচ বিভিন্ন গড়ন
বলে ফেললে ভেঙ্গে ফেললে কী কুৎসিত তার বুক
কান্না পাবে, এর থেকে প্রতারণা অধিক মধুর ।।

২৬/৩/১২

৯০

ভুল হলে কী এসে যায় ছকে বিচ্ছিন্ন হলুদ পাতায়
কালশিটে অক্ষরগুলো দাঁতে দাঁত লাগিয়ে হেসে ওঠে সোমবার
আমাদের দুর্দান্ত পাঠে মেদহীন সুখ ট্যাক্সিক্যাব করে
ধাই ধাই মাতিয়ে তোলে বিভক্ত পৃথিবী

২৪/৩/১২

৮৯

আঁধারে থুবড়ে গেছি ইটের চিমনি প্রেমিকার পাঁজর
পিচ্ছিল সিলিণ্ডারে আশা-পরিসংখ্যান সব
করজোড় কাকুতিতে লেমিনেটেড হেলেন হেলে যাচ্ছে পশ্চিমে
ভাগাভাগি ভারে সীমিত টালীর দাগগুলো

২৩/৩/১২

৮৮

প্রভাতের তারঙ্গিক ডাক সায়াহ্নে থেঁতলে ছিলো
আমরা ঘাম থেকে শরীর বের করে আনতে পেরেছি
যাদের নিবিড় জটিলতা থাকে ভ'রে যেতে পারেন
অদ্ভুত এই বাকশো থেকে আঠালো সব সমাধান বেরিয়ে আসছে

১৪/৩/১২

৮৭

এই দাঁতেকাটা নখেরা স্নানরতা প্রযুক্তি-ভাগাড়ে, পৃথিবীতে বিদ্যুত নাই
আখেরাতি ভোগের বোতামে মাংস-চর্বি-হাড়,
লঞ্চের চপচপে ডেকে বান্ধবীর সালোয়ার
শরীরে বিদ্যুত নাই, মাথায় থলথলে বিষ
প্রকাণ্ড ঘোড়ার ডিম চাই

১২/৩/১২

৮৬

মাথার ভিত্রে জ্যাম-ললি, ট্রাক-শিশি, কিউটের দলা, লাশের ভাসান
মঞ্চ বাঁধা হতেছে আসমানে, অতিকায় ড্রেন প্লাজা হয়ে মেট্রোপলিটান ।।

১২.৩.১২

৭/৩/১২

৮৫

সুতোয় থাকি
অস্তিত্ব ঝরে যায়
ফোঁটায় ফোঁটায়
উল্টে থাকি সভ্যতায়

যুক্তির এ্যাবাকাসকে বিদায়
শূন্যে ফুকোশীয় সহায়
যতটুকু ভাবি ততটুকু দায়
নির্লিপ্ত থাকি শব্দে অসহায়

নির্বেদ থাকি অনুচ্ছেদ

৭.৩.১২

৮৪

মানুষ দেখতে পাচ্ছি
তালগাছ দেখতে পাচ্ছি
আজ শনিবার নয়
আজ বুধবার
বরাবর সাগর ভয়ংকর
বরাবর বাতাস ভয়ংকর
পথকে চিনেছি ভুল
সময় চিনেছি বৃথা
আগলেছি কাগজের ঘ্রাণ
শিশির আকুলতায়

অবশেষে বিশিষ্ট সুর
ফিরে গেছে প্রকৃত পৃথিবীতে

৭.৩.১২

৪/৩/১২

৮৩

ভয়ানক সুস্বাদু
ধাতব বার্গার
ধাতব স্যাণ্ডউইচ
বোর্ডে লেখা আছে সুধা
পার্মানেণ্ট ইংকে লেখা আঁতলামির সনদ
সম্ভবত শেভড হতেও পারি
বাসে টাঙানো আছে নাম্বার ওয়ান
আর খড়গাদাতে বরফ

৪.৩.১২

৩/৩/১২

৮২

অরিগ্যামির ছিমছাম হৃদয়ে পালমোনিক শিরাগুলো
একটির আরেকটিকে ঘিরে ক্রমাগত উঠে যাওয়া সর্পিল
থিকথিকে জলে লেপ্টে যাওয়া বর্ণবিহীন,
খণ্ডকবিতার স্তুপ থেকে ধোঁয়া ওঠে বেঁকে যায় পরিপ্রেক্ষিত
মিছিল-রক্ত-দেহ সব গাণিতিক হয়
যাবতীয় আর্তনাদে জনগণ যৌগিক
তাদের সেলফোনে ক্রমাগত কম্পন হয় ।।

২/৩/১২

৮১

আমরা কেউ কেউ সাইয়ান পায়রাটিকে ভেসে যেতে দেখেছি
যার পৌনঃপুনিক পালকে টাঙ্গানো ছিল প্লাটোনিক ড্রাম, লালচে বিপ্লব
আর কেউ কেউ খেয়ে নিয়েছি মধ্যবিত্ত দ্বিধা
টি-স্টল আকাশের থ্রি এমএম ফুটো;
আমরা যারা বিপ্লবকে সীসা খাইয়েছি
সার্কাসের আগুন পুষেছি চোয়ালে
জঘন্য বিনোদনে ক্ষিধেকে করেছি শহীদ
আমাদের দাঁড়ি গোঁফ টেনে ভবিষ্যত ঝুলে আছে;
আমরা কেউ কেউ ভীষণ স্মার্ট কেননা সাইয়ান পায়রাটিকে ভেসে যেতে দেখেছি
যার পৌনঃপুনিক পালকে টাঙ্গানো ছিল প্লাটোনিক ড্রাম, লালচে বিপ্লব ।।

২.৩.১২

১/৩/১২

৮০

যা যা ধরে নিতে চাও
বাতাস ধরে নাও,
যা যা ছুঁয়ে যেতে চাও
আকাশ ছুঁয়ে যাও,
ধরে দেখো টিকে আছো যতটা
ছুঁয়ে দেখো বেঁচে আছো ততটা;
কী কী চাইলে !
না না ঠিক করে চাও,
কী কী পেলে !
আহা পেলে না তো,
সেই চাওয়া না-চাওয়ার
ছককাটা শরীরে
পাওয়া না-পাওয়ার
দাগকাটা হাহাকার।।

১.৩.১২

২৯/২/১২

৭৯

টিপ টিপ সীমাবদ্ধ কিষাণ সূর্যপুরে জ্বলতে যাবে
বুকে কাঁধে তিনপশলা আমন সংগীত
সীমাবদ্ধ কিষাণ সূর্যপুরে টিপ টিপ জ্বলতে যাবে
নকশীকাঁথার পাশে বাসি ভাত মরিচ
তেল চুকচুক ঠাণ্ডা বালিশ
বাঁশের শরীর তেল চকচক

মাংসের নীচে আত্মায় ঘাঁ
তাই নিয়ে টিভি দেখা
২৯.২.১২

২৭/২/১২

৭৮

মেয়োনেস কয়লার নীচে শরীর ত্রিমাত্রিক
বিমূর্ত বিবেক, পিৎজার আমিষ
পুলিৎজার প্রাইজ
অতিরিক্ত সুখ, অতিরিক্ত বমি
বেশি কাছে টানলে পিকজিলেট হয়ে যায়

২৭.২.২০১২

২৬/২/১২

৭৭

মানিপ্ল্যাণ্ট পোষাপুষির হাজার বৎসর কয়েক
জারুল তাকিয়ে থাকে কাঁধে বিনোদন বুকে বেয়নেট
আলপথে সাদা ঘাসে পেকে ওঠা তার ঠোঁট
উনার আঁধারে লেখা আমার আঁধার

২৬.২.২০১২

২৫/২/১২

৭৬


ভুতে পেয়েছে।
অপ্রকৃতিস্থ গীটারের কর্ড আর অ্যাণ্টেনা দেখা যাচ্ছে।
পথসমূহ উর্ণাজালের মতোন ভাবনাকে কাঁখে নিয়ে
চলে যাচ্ছে অক্ষ থেকে নিরক্ষে। সেই হতাশায়
অবয়বের অভিক্ষেপ ধরে টানাটানি বিগত কয়েক দিন।
যাই হোক কারো কাছে দুপুর
ধার চাইতে হবেনা অন্ততঃ।
ওটা আছে ঢের ঢের।

২৫.২.২০১২

২৪/২/১২

৭৫

যাচ্ছিনা গুলিস্তান।
প্রথমত খুঁজে পাচ্ছিনা অর্ধেকটা। কীকরে
যেন বাইরেটা তালা মেরে
চাবির গোছা ভুতের হাতে পাচার। মাঝখানে শ্লোক।
দ্বিতীয়ত চিরস্থায়ী দুপুর।
মধ্যমা ঢুকে যাচ্ছে বিদেশী বেড়ালে।
তৃতীয়ত বলকান বিদ্বেষ। খাতা ভরে আছে কাটাকুটি
গোল্লাছুটে। পরিপাকথলি চোখে পড়ছে।
তারপর চেপেচুপে খয়েরি মতোন মাঝারি গোল
সেঁটে দিতে হবে দেয়ালের কোটরে।
তার কাটতে হবে। প্রচুর
মোটা দাগের তার। প্রচুর।

২৪.২.২০১১

২৩/২/১২

৭৪

থিকথিকে বাজারের পতিত আরাম
চোখের প্রাচীরে ঘাম, নুনস্বাদ কেরোসিন
ফেঁপে ওঠা ভায়োলিন হাড়
সীমাহীন

কলবেল বাজলো খুলে দিল লাশ
ভ'রে দিল পরিহাস


২২.২.২০১১

১৯/২/১২

৭৩

শরীর প্রতিনিয়ত অবসরে যাচ্ছে,
বসনের বুননে শ্যাওলাকে প্রশ্রয় দেয়া বৃহদাকার
প্রয়োজনের তুলনায় পেরিয়ে আসা অতিরিক্ত বয়সে
বিভিন্ন প্রজাতির নর-নারী
আর তাদের আলাদা আলাদা বাসনা, ঘ্রাণ, স্বাদ
বিলাসের সূক্ষ্ম আড়ম্বর; অজস্র হাটবার
রিকশায় যে ঝুলে যায় তার বয়স সাত
নখ কাটা হয়নি বুধবারে, তার বাড়ি
পেকে উঠছে কাঁঠালের পৃষ্ঠা
অবনত শাখায় বিব্রত ঘুঘু মানুষের দিকে তাকিয়ে থাকে,
দাতব্য বাড়ি, জানালায় গ্রিল নেই, চৌকাঠ আছে
দুপুরের কোলে রোদ আছে চকচকে,
বাঁধানো সড়ক হবে দেহাতি বাজারে
কোঁকড়ানো লাউয়ের মাচান থেকে তাই দেখে শালিক যুগল,
বিলিতি মালিশ, নখের পালিশ, মানুষের আজন্ম সালিশ
মশলার স্তুপে তেলচিটে পাটের বিছানা
আশার আবাদে শত শত শুকনো চোখ
খাঁ খাঁ করা আজব এক শূন্যতা।

১৮/২/১২

৭২

অনুভূতিরা ফেরারী
ছায়া সরিসৃপ
ছায়া বর্বরতা
কখনও কোন শব্দ হবে না

দুলে দুলে কেঁপে যাচ্ছে অপেক্ষা
বিশ জন্ম
অথবা পঁচিশ
কোটি কোটি পদক্ষেপ

২.২.১২

৭১

প্রথমত ক্যাকটাস বোঝার দরকার নেই
দ্বিতীয়ত ক্যাকটাস বোঝার দরকার নেই
তৃতীয়ত ক্যাকটাস বোঝার দরকার নেই

আলুর ঝাকায় কাঙাল সুপুরি
লম্বা লম্বা পা লাউফুলের সাথে
গোল গোল পা লাউফুলের সাথে

৭০

যাতায়াত শেষ
তবু গ্রাম্য শীতের এক ব্যাপার আছে,
ভোরের ঠিক আগে কিংবা সন্ধ্যার ঠিক পরে
বৃক্ষবৃন্দ যখন মাত্রই গোসল সেরে আসা স্নিগ্ধতায়,
সেই আশ্চর্য নেশায় ভেসে যাচ্ছে
অন্য কোন ভুবনের টুপটাপ লালে লাল আকাশ,
পথ তার নিবিড় ধুলোর ঢেউ নিয়ে সরে যাচ্ছে,
প্রতিটি রেণু যেন স্বতন্ত্র অনুভুতিতে বুঁদ,
প্রায় মিশে যেতে যেতে যেতে
তখন বোধহয় কিছুটা বোঝা যায়
জীবন এক ভাতঘুম।
১৮.১.১২

৬৯

উন্মাদনা কেবল কৈফিয়ত দেবে
ভাটিয়ালি উদ্দামতার ধারাবাহিক
দিন-রাতের অতিপৃক্ত আগুন
আপনার কাছেই
স্থির হোন