১৮/৭/১১

৬৩

শতভাগ সুতির এই ফতুয়ার ভেতর
প্রতিশ্রুত গোধুলীতে চোখ বন্ধ রেখে
কিছু প্রশ্নের উত্তর আর দেয়া হবেনা
কিছু অনুভূতি বাজবেনা কোনদিন
তাদের তালিকা মধ্যমা-তর্জনী-বৃদ্ধাঙুল
এই তিন ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে আর হাওয়ায়
তিরতির কেঁপে হয়তোবা গাইছে
আমার এই অক্ষমতার সঙ্গে

তবু এভাবে থেমে যেতে কষ্ট হচ্ছে খুব, খুব।

১৬/৭/১১

৬২

মরসুম শেষ,
আগলানো মাচানে শুয়ে আছে শেষ লতা
ধোঁয়াওঠা সুখের অসহ্য বক্রতায় আঁকাবাঁকা
পুনরায় প্রস্থানের শর্তে
তার কাছে ফিরে গেছি

৬১

হয়তোবা
খুঁত ছিল রোদের বাহুতে, তবু সে এলানো আমার পাঁজরে,
প্রুশিয়ান সভ্য আর্তনাদে বন্দোবস্ত বাঁধা ছিল
সেই ঘাটে, প্রাগৈহাসিক থেকে যা কি-না নেই কোনদিন,
আবারও বলি একাকীত্ব ভালো আছে ভরপুর পৃষ্ঠায়


৬০

ফুলের ওইপাড়ে ফুটে আছে অন্ধকার
ভুলে যেতে পারি, থেমে যেতে পারি
আকাশকে ছেড়ে যেতে পারি
ভুলে যেতে পারি আমি এই পৃথিবীর সন্তান
তবু বন্ধ্যা আষাঢ়ের বিকেলে আমি সুখী

১৪/৭/১১

৫৯

পৃষ্ঠা ফাঁকা থাকুক
কাউকে লাগবে না সবাইকে নমস্কার শব্দবাক্যে
এলোমেলো বই-খাতাকে ভাল্লাগছেনা আলোকে বলছি চা দিতে
হিসেব পারি বা না পারি কিছুতেই থাকবোনা এ ঘরে
আমি যাব

৮/৭/১১

৫৮

যেকোনো উঁচু পাহাড়ের চূড়াকে তুলে ধরেছি
আকাশের উপরে, আকাশকে হাতে ধ'রে
শুইয়েছি মোহনাতে, আর নদীকে দেখাবো তার জন্মস্থান
কেননা শিখেছি, কথা রাখতে হয়...

ঢেউ আর আকাশকে নিয়ে পৃথিবীর সে কী উচ্ছ্বাস !!

৫৭

এফএফসির সামনের পৃথিবী

সিঁথিতে ফ্লুরোসেণ্ট লাল নিয়ে
ঘাম আর মাংসে
ভয়ানক এগুচ্ছে রাত

কুকুর তার কুকুরীকে মানুষের গল্প বলে...

৫/৭/১১

৫৬

রেখার মতোন এক পথ আকাশকে উল্টো করে ধরে
আঁধার যাচ্ছে মানুষ আর পৃথিবীর হৃদপিণ্ডে,
সন্ধ্যের পর পর খুব দূরের কাউকে আরো দূরে তাকাতে দেখে
ভীষণ মাতাল এই অপহৃতবাস, পেসমেকারে কেন ফিরবো
খুব খুব কষ তাই এর থেকে হাত সরাবার পরও দেরি হয়;
সম্ভবত পাঁজর খারাপ, কিংবা করোটি, তার ভেতরে
দুঃস্বপ্ন নির্মাণের রাত, অমাবস্যার ঝুলন্ত উপসংহারগুলো
হাতে বানানো আকাশে

প্রভাতে সায়াহ্নের ভাঁজপরা মেঘ
বড্ড জলজ্যান্ত ।।