১৭/৯/১১

৬৮

শনিবার
হাড়গিলরা মুখ বার করে বসে আছে
ভাংতি নেই,
সবার কাঁধ থেকে ঝুলে আছে দুর্ভাগ্যজনক ব্যাগ,

এবার সমানে সমান বিতৃষ্ণার মিল্কশেক
হারপুণে কিংবদন্তী - নিশানা হৃদযন্ত্র
আর ঠিক এই মুহূর্তের আকাশ...

মহিষের ঘাড়ে তীব্র বোয়াল

৬৭

গাছ দ্যাখো বিষাক্ত কাঞ্চন
তোমার সানগ্লাসে বরফের চাঁই
পোষা ডাহুক অস্ট্রলিয়া যাবে
পরিবেশবান্ধব সঙ্গিনীও তাই

৬৬

সেলাই সেলাই লম্বা শীতের ট্রেনে
বিকৃত সার্ডিন, আমি কিউবিক
তোমার মস্তিষ্ককে লজ্জা দিচ্ছে তিন ভাই
ভালোবাসা প্যাকেটে ঝুলছে সামার থেকে
সামার থেকে ওরা ঝুলছিল, ওরা পি, কা, সো

৬৫


হাতীর দাঁতের সাদা ভেসে আছে, অন্য আঁধারে
আমার ভুল প্রশ্নের পাহাড়
স্বেচ্ছাচারিত্ব চাচ্ছে ক্ষিধে তার
কী দুর্দান্ত গতিতে সব খরচ হয়ে যায়
হাতে হাতে গার্হস্থ্য অন্ধকার
এক জীবন্ত পেঁপের ভেতর

৬৪

ছাদবোঝাই খরগোশের রক্ত, থেমে থেমে লেখা হচ্ছে দলিল
প্রামাণ্য পৃথিবী সুপারস্টোর, তার ঘেমে ওঠা লম্বা কামিজ
শেষে ধুন্ধুমার ক্যাওড়া গুণ্ডীটাকে নিয়ে পালাবে
মাছি ওর মাসীর মা-কে

১৮/৭/১১

৬৩

শতভাগ সুতির এই ফতুয়ার ভেতর
প্রতিশ্রুত গোধুলীতে চোখ বন্ধ রেখে
কিছু প্রশ্নের উত্তর আর দেয়া হবেনা
কিছু অনুভূতি বাজবেনা কোনদিন
তাদের তালিকা মধ্যমা-তর্জনী-বৃদ্ধাঙুল
এই তিন ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে আর হাওয়ায়
তিরতির কেঁপে হয়তোবা গাইছে
আমার এই অক্ষমতার সঙ্গে

তবু এভাবে থেমে যেতে কষ্ট হচ্ছে খুব, খুব।

১৬/৭/১১

৬২

মরসুম শেষ,
আগলানো মাচানে শুয়ে আছে শেষ লতা
ধোঁয়াওঠা সুখের অসহ্য বক্রতায় আঁকাবাঁকা
পুনরায় প্রস্থানের শর্তে
তার কাছে ফিরে গেছি

৬১

হয়তোবা
খুঁত ছিল রোদের বাহুতে, তবু সে এলানো আমার পাঁজরে,
প্রুশিয়ান সভ্য আর্তনাদে বন্দোবস্ত বাঁধা ছিল
সেই ঘাটে, প্রাগৈহাসিক থেকে যা কি-না নেই কোনদিন,
আবারও বলি একাকীত্ব ভালো আছে ভরপুর পৃষ্ঠায়


৬০

ফুলের ওইপাড়ে ফুটে আছে অন্ধকার
ভুলে যেতে পারি, থেমে যেতে পারি
আকাশকে ছেড়ে যেতে পারি
ভুলে যেতে পারি আমি এই পৃথিবীর সন্তান
তবু বন্ধ্যা আষাঢ়ের বিকেলে আমি সুখী

১৪/৭/১১

৫৯

পৃষ্ঠা ফাঁকা থাকুক
কাউকে লাগবে না সবাইকে নমস্কার শব্দবাক্যে
এলোমেলো বই-খাতাকে ভাল্লাগছেনা আলোকে বলছি চা দিতে
হিসেব পারি বা না পারি কিছুতেই থাকবোনা এ ঘরে
আমি যাব

৮/৭/১১

৫৮

যেকোনো উঁচু পাহাড়ের চূড়াকে তুলে ধরেছি
আকাশের উপরে, আকাশকে হাতে ধ'রে
শুইয়েছি মোহনাতে, আর নদীকে দেখাবো তার জন্মস্থান
কেননা শিখেছি, কথা রাখতে হয়...

ঢেউ আর আকাশকে নিয়ে পৃথিবীর সে কী উচ্ছ্বাস !!

৫৭

এফএফসির সামনের পৃথিবী

সিঁথিতে ফ্লুরোসেণ্ট লাল নিয়ে
ঘাম আর মাংসে
ভয়ানক এগুচ্ছে রাত

কুকুর তার কুকুরীকে মানুষের গল্প বলে...

৫/৭/১১

৫৬

রেখার মতোন এক পথ আকাশকে উল্টো করে ধরে
আঁধার যাচ্ছে মানুষ আর পৃথিবীর হৃদপিণ্ডে,
সন্ধ্যের পর পর খুব দূরের কাউকে আরো দূরে তাকাতে দেখে
ভীষণ মাতাল এই অপহৃতবাস, পেসমেকারে কেন ফিরবো
খুব খুব কষ তাই এর থেকে হাত সরাবার পরও দেরি হয়;
সম্ভবত পাঁজর খারাপ, কিংবা করোটি, তার ভেতরে
দুঃস্বপ্ন নির্মাণের রাত, অমাবস্যার ঝুলন্ত উপসংহারগুলো
হাতে বানানো আকাশে

প্রভাতে সায়াহ্নের ভাঁজপরা মেঘ
বড্ড জলজ্যান্ত ।।

১/৫/১১

৫৫

আলোর দিকে উরু তুলে
আমাদের দ্যাখে ওটা
বুড়োদের বুড়োরাই গিলছে,
পাশে যারা বেঁচে ছিল
এমনি এমনি শেষ
আমাদের দিকে
তাক করা আছে চাঁদ
কী কী আছে
টেনেটুনে বাঁচা এই পৃথিবীর জন্যে;

বাতাস এবং জোৎস্নার পেন্টিং বানালো
এক কালোচুল বুড়োমতন লোক
গত হাজার জীবন তা-ই
আমাদের দেখতে হচ্ছে -
লাল এবং চুঁইয়ে পড়া তাঁবুর কোণা -
হাতের মুঠোতে তুলে জামা গুটিয়ে -
দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এক ঠাঁয় -
হাস্নাহেনার পর হাস্নাহেনা -
যুদ্ধের পর যুদ্ধ
ক্রমাগত নাম পাল্টাচ্ছে আর
লেপ্টে যাচ্ছে বিভিন্ন দেয়ালে ।।

২১/৩/১১

৫৪

চড়া ধারাপাত
আঙুলে আঙুলে পাপ
হাড়ে হাড়ে সংগীত
এমনই প্রকট পঙ্গু বৃত্তবাসী ট্র্যাপিজিয়ম
প্রান্তে দাঁড়ায় ভেতরে তাকায়

ওর এই দিনগুলো আসে, স্পর্শকাতর পাথর
ভাবে সূর্যাস্তই সব, কথা রাখে কথা দেয়
ভুলভাবে ভুল ভাবে, ডেকে নেয়
গভীরে শীতকাল; জমে ওঠে বিধাতার নীরবতা;
ছুঁতে চায়, সরে যান ঋণাত্মক বাক্যগণ, তাই
ভুলতে চেয়েছে এবং ভুলেছে
কর্কটের মাঠ, সূর্য জমা দূর্বা;
পৃষ্ঠা উল্টে যায়, এরপরও -
তবেই না ভাষা পাবে পুরাতন, আর -
ওর নিজস্ব ডাক, পাঠায়
খুব ধীরে রোদের স্বচ্ছ শরীরে;
সান্ত্বনার আর্দ্রতায় হচ্ছে না আর
কিছু অদ্ভুত বৃত্তে বন্দী হতে হতে ভাবে
মিথ্যে সব ধুলো আর বসন্তের ডাল
এইসব ব্যথার ফুটো দিয়ে আরো একটু উপরে উঠে
একবার আকাশ দেখবে অনুচ্ছেদ

২০/১/১১

৫৩

যন্ত্রণার চাবি মাংসের সকেটে গুঁজে এইভাবে ছেড়ে যায়
দিনে-রাতে আলোর মতোন জ্বলতেও পারে, জানতাম
এরপরও বিশ্বাস এক শূন্য বাকসের নাম
সারাক্ষণ এস.এম.এস কৌতুক
সেলফোনের বাটনে এত দুঃখ ;

মিরিন্ডার শিশিতে শুয়েছিল সামান্য ঠোঁট
ওইটুকুন পেতে জন্মের হা-পিত্যেশ, আর
যাবার আগে শুধু দুই কাপ চিনি ছাড়া চা ।।

৫২

চামড়ার দোকান ভাসে ওইপাড়ের রাস্তায়
এপ্রান্তে পিষে জ্বলজ্বলে সিগ্রেটের মাথা, আমি দাঁড়াই
যারা শকুন ওড়ে আর শেখে অদ্ভুত রসায়ন, বাষ্পীভবন
কারো ঠোঁট আর স্থিতিস্থাপক নয়
দরজা লাগানোর পর আবিষ্কার করি আমি আছি ওইপাশে
তুমুল আঘাতে খসে পড়ছে অবশিষ্ট আঙুল
এপাশে আমি স্থবির
মনোযোগী শ্রোতার মতন নিবিড়
শুষে নিচ্ছি স-ব ।

৯/১/১১

৫১

জানলায় রোদ এভাবেই আসতো - যেতো
যথাযথ সীমাবদ্ধ উড়াল, সীমিত সুখ
পরিচিত বন্দর বিকেল কিংবা সন্ধ্যার ভেতর
ভীষণ শব্দ আর এককোণে আমি, থাকতাম
সবাই এক দেখি ফর্সা জামার সাথে
সবুজে গিয়ে তাকাই ওরা কিভাবে গলে যায়
ক্লান্ত ধাঁধাঁয় জট দেবো আরো
হাতের তালুতে বোনা ব্যক্তিগত ঘর
বুকের চাদরে প্রতিটি সুতোতে অ-শূন্যতা
কুয়াশা মানেই তো - কী ভীষণ সুখ ।।

___________________
০৯ জানুয়ারি ২০১১