২৯/২/১২

৭৯

টিপ টিপ সীমাবদ্ধ কিষাণ সূর্যপুরে জ্বলতে যাবে
বুকে কাঁধে তিনপশলা আমন সংগীত
সীমাবদ্ধ কিষাণ সূর্যপুরে টিপ টিপ জ্বলতে যাবে
নকশীকাঁথার পাশে বাসি ভাত মরিচ
তেল চুকচুক ঠাণ্ডা বালিশ
বাঁশের শরীর তেল চকচক

মাংসের নীচে আত্মায় ঘাঁ
তাই নিয়ে টিভি দেখা
২৯.২.১২

২৭/২/১২

৭৮

মেয়োনেস কয়লার নীচে শরীর ত্রিমাত্রিক
বিমূর্ত বিবেক, পিৎজার আমিষ
পুলিৎজার প্রাইজ
অতিরিক্ত সুখ, অতিরিক্ত বমি
বেশি কাছে টানলে পিকজিলেট হয়ে যায়

২৭.২.২০১২

২৬/২/১২

৭৭

মানিপ্ল্যাণ্ট পোষাপুষির হাজার বৎসর কয়েক
জারুল তাকিয়ে থাকে কাঁধে বিনোদন বুকে বেয়নেট
আলপথে সাদা ঘাসে পেকে ওঠা তার ঠোঁট
উনার আঁধারে লেখা আমার আঁধার

২৬.২.২০১২

২৫/২/১২

৭৬


ভুতে পেয়েছে।
অপ্রকৃতিস্থ গীটারের কর্ড আর অ্যাণ্টেনা দেখা যাচ্ছে।
পথসমূহ উর্ণাজালের মতোন ভাবনাকে কাঁখে নিয়ে
চলে যাচ্ছে অক্ষ থেকে নিরক্ষে। সেই হতাশায়
অবয়বের অভিক্ষেপ ধরে টানাটানি বিগত কয়েক দিন।
যাই হোক কারো কাছে দুপুর
ধার চাইতে হবেনা অন্ততঃ।
ওটা আছে ঢের ঢের।

২৫.২.২০১২

২৪/২/১২

৭৫

যাচ্ছিনা গুলিস্তান।
প্রথমত খুঁজে পাচ্ছিনা অর্ধেকটা। কীকরে
যেন বাইরেটা তালা মেরে
চাবির গোছা ভুতের হাতে পাচার। মাঝখানে শ্লোক।
দ্বিতীয়ত চিরস্থায়ী দুপুর।
মধ্যমা ঢুকে যাচ্ছে বিদেশী বেড়ালে।
তৃতীয়ত বলকান বিদ্বেষ। খাতা ভরে আছে কাটাকুটি
গোল্লাছুটে। পরিপাকথলি চোখে পড়ছে।
তারপর চেপেচুপে খয়েরি মতোন মাঝারি গোল
সেঁটে দিতে হবে দেয়ালের কোটরে।
তার কাটতে হবে। প্রচুর
মোটা দাগের তার। প্রচুর।

২৪.২.২০১১

২৩/২/১২

৭৪

থিকথিকে বাজারের পতিত আরাম
চোখের প্রাচীরে ঘাম, নুনস্বাদ কেরোসিন
ফেঁপে ওঠা ভায়োলিন হাড়
সীমাহীন

কলবেল বাজলো খুলে দিল লাশ
ভ'রে দিল পরিহাস


২২.২.২০১১

১৯/২/১২

৭৩

শরীর প্রতিনিয়ত অবসরে যাচ্ছে,
বসনের বুননে শ্যাওলাকে প্রশ্রয় দেয়া বৃহদাকার
প্রয়োজনের তুলনায় পেরিয়ে আসা অতিরিক্ত বয়সে
বিভিন্ন প্রজাতির নর-নারী
আর তাদের আলাদা আলাদা বাসনা, ঘ্রাণ, স্বাদ
বিলাসের সূক্ষ্ম আড়ম্বর; অজস্র হাটবার
রিকশায় যে ঝুলে যায় তার বয়স সাত
নখ কাটা হয়নি বুধবারে, তার বাড়ি
পেকে উঠছে কাঁঠালের পৃষ্ঠা
অবনত শাখায় বিব্রত ঘুঘু মানুষের দিকে তাকিয়ে থাকে,
দাতব্য বাড়ি, জানালায় গ্রিল নেই, চৌকাঠ আছে
দুপুরের কোলে রোদ আছে চকচকে,
বাঁধানো সড়ক হবে দেহাতি বাজারে
কোঁকড়ানো লাউয়ের মাচান থেকে তাই দেখে শালিক যুগল,
বিলিতি মালিশ, নখের পালিশ, মানুষের আজন্ম সালিশ
মশলার স্তুপে তেলচিটে পাটের বিছানা
আশার আবাদে শত শত শুকনো চোখ
খাঁ খাঁ করা আজব এক শূন্যতা।

১৮/২/১২

৭২

অনুভূতিরা ফেরারী
ছায়া সরিসৃপ
ছায়া বর্বরতা
কখনও কোন শব্দ হবে না

দুলে দুলে কেঁপে যাচ্ছে অপেক্ষা
বিশ জন্ম
অথবা পঁচিশ
কোটি কোটি পদক্ষেপ

২.২.১২

৭১

প্রথমত ক্যাকটাস বোঝার দরকার নেই
দ্বিতীয়ত ক্যাকটাস বোঝার দরকার নেই
তৃতীয়ত ক্যাকটাস বোঝার দরকার নেই

আলুর ঝাকায় কাঙাল সুপুরি
লম্বা লম্বা পা লাউফুলের সাথে
গোল গোল পা লাউফুলের সাথে

৭০

যাতায়াত শেষ
তবু গ্রাম্য শীতের এক ব্যাপার আছে,
ভোরের ঠিক আগে কিংবা সন্ধ্যার ঠিক পরে
বৃক্ষবৃন্দ যখন মাত্রই গোসল সেরে আসা স্নিগ্ধতায়,
সেই আশ্চর্য নেশায় ভেসে যাচ্ছে
অন্য কোন ভুবনের টুপটাপ লালে লাল আকাশ,
পথ তার নিবিড় ধুলোর ঢেউ নিয়ে সরে যাচ্ছে,
প্রতিটি রেণু যেন স্বতন্ত্র অনুভুতিতে বুঁদ,
প্রায় মিশে যেতে যেতে যেতে
তখন বোধহয় কিছুটা বোঝা যায়
জীবন এক ভাতঘুম।
১৮.১.১২

৬৯

উন্মাদনা কেবল কৈফিয়ত দেবে
ভাটিয়ালি উদ্দামতার ধারাবাহিক
দিন-রাতের অতিপৃক্ত আগুন
আপনার কাছেই
স্থির হোন