২০/১/১১

৫৩

যন্ত্রণার চাবি মাংসের সকেটে গুঁজে এইভাবে ছেড়ে যায়
দিনে-রাতে আলোর মতোন জ্বলতেও পারে, জানতাম
এরপরও বিশ্বাস এক শূন্য বাকসের নাম
সারাক্ষণ এস.এম.এস কৌতুক
সেলফোনের বাটনে এত দুঃখ ;

মিরিন্ডার শিশিতে শুয়েছিল সামান্য ঠোঁট
ওইটুকুন পেতে জন্মের হা-পিত্যেশ, আর
যাবার আগে শুধু দুই কাপ চিনি ছাড়া চা ।।

৫২

চামড়ার দোকান ভাসে ওইপাড়ের রাস্তায়
এপ্রান্তে পিষে জ্বলজ্বলে সিগ্রেটের মাথা, আমি দাঁড়াই
যারা শকুন ওড়ে আর শেখে অদ্ভুত রসায়ন, বাষ্পীভবন
কারো ঠোঁট আর স্থিতিস্থাপক নয়
দরজা লাগানোর পর আবিষ্কার করি আমি আছি ওইপাশে
তুমুল আঘাতে খসে পড়ছে অবশিষ্ট আঙুল
এপাশে আমি স্থবির
মনোযোগী শ্রোতার মতন নিবিড়
শুষে নিচ্ছি স-ব ।

৯/১/১১

৫১

জানলায় রোদ এভাবেই আসতো - যেতো
যথাযথ সীমাবদ্ধ উড়াল, সীমিত সুখ
পরিচিত বন্দর বিকেল কিংবা সন্ধ্যার ভেতর
ভীষণ শব্দ আর এককোণে আমি, থাকতাম
সবাই এক দেখি ফর্সা জামার সাথে
সবুজে গিয়ে তাকাই ওরা কিভাবে গলে যায়
ক্লান্ত ধাঁধাঁয় জট দেবো আরো
হাতের তালুতে বোনা ব্যক্তিগত ঘর
বুকের চাদরে প্রতিটি সুতোতে অ-শূন্যতা
কুয়াশা মানেই তো - কী ভীষণ সুখ ।।

___________________
০৯ জানুয়ারি ২০১১